• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

সারা দেশ

ছাত্রদলের ক্যাডার থেকে আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন এখন চেয়ারম্যান প্রার্থী!

  • ''
  • প্রকাশিত ৩০ এপ্রিল ২০২৪

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি:

এক সময় ছিলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা ছাত্রদলের সভাপতি। সেই সুবাদে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করতে গিয়ে ২০০১ সালে অস্ত্র ও নারীসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এই আমজাদ হোসেন স্বপন। পরে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। পরবর্তী তিনি কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হন। তখন আমজাদ হোসেন স্বপন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আশীর্বাদ নিয়ে ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হন।

দেশে চলছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর প্রথম ধাপের এখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন একসময়ের ছাত্রদলের ক্যাটার ও বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন স্বপন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ায় তিন প্রার্থীর মধ্যে স্বপনকে নিয়ে স্থানীয়ভাবে চলছে ব্যাপক সমালোচনা।

সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৩৫ নং রোডের ১৯ নম্বরের একটি বাড়ির নিচতলা থেকে জুয়ার আসর থেকে তৎকালীন কালীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন স্বপনসহ ৫২ জন জুয়ারিকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। এ সময় নগদ ২ লাখ ৮৩ হাজার ৪৯৫ টাকা ও জুয়া খেলার সামগ্রী জব্দ করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে স্থানীয় একাধিক সাধারণ ভোটারের সাথে কথা হয়। তারা জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের মদদ পোস্ট হয়ে একবার ভাইস চেয়ারম্যান ছাড়া একাধিক নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও জিততে পারেনি স্বপন। যিনি অস্ত্র ও নারীসহ এবং জুয়ার আসর থেকে গ্রেফতার হয় তার মত প্রার্থী যদি উপজেলার চেয়ারম্যান হতে চায়, এটা সমাজের সচেতন মহলের জন্য লজ্জাজনক এবং সাধারণ মানুষের জন্য হতাশাজনক। এদের মত মানুষের কারণে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কালীগঞ্জ পৌরসভার মূলগাঁও এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর তীর অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলেছেন অবৈধ কয়লার ব্যবসা। যেখানে সরকার হারাচ্ছেন বিপুল রাজস্ব। এ নিয়ে দেশের প্রথম শ্রেণির একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদও প্রচার হয়েছে। বাককে কোন কিছু দান করলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে দান করেন। এমনকি যাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি পর্যন্ত সে ফেসবুক লাইভে এসে দান করে। তাই তার মত প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকার সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন করা কষ্টকর হয়ে যাবে বলেও তারা মনে করেন।

আমজাদ হোসের স্বপন মুঠোফোনে বলেন, আমি একবার ২০০১ সালে, আরেকবার ২০১৫ সালে আটক হয়েছিলাম। কিন্তু এখন আমি অনেক ভালো ভালো কাজ করছি। মসজিদ, মাদ্রাসা, ইমাম ও মুয়াাজ্জিনদেরসহ অসহায় দরিদ্র মানুষের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। এসব আপনাদের চোখে পড়ে না? পারলে এগুলো লিখেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads